দারিদ্র বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপি একটি পরীক্ষিত ও স্বীকৃত মাধ্যম হচ্ছে সমবায়। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩(খ) অনুচ্ছেদে সমবায়কে সম্পদের মালিকানার ২য় খাত হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে অর্থনীতির প্রায় সকল শাখায় সমবায় তার কার্যক্রম বিস্তৃত করেছে। কৃষির পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসা, পরিবহণ, পর্যটন, কুটিরশিল্প, আবাসন, মৎস্য, দুগ্ধ, সঞ্চয়-ঋণদান,সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন,পানি ব্যবস্থাপনা, তাঁত শিল্প ইত্যাদি ৩৫ শ্রেণির বিভিন্ন খাতে সমবায় পদ্ধতির বিস্তার ঘটেছে।
সরকার ঘোষিত নির্বাচনী অঙ্গীকার ‘‘রূপকল্প ২০৪১’’বাস্তবায়নে সমবায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, বিশেষ করে আর্থিক ও সেবা খাতে নতুন কার্যক্রম গ্রহণ, বিদ্যমান কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন ও বিভিন্ন প্রকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে সমবায় অধিদপ্তর বেশ কিছু মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখতে পারে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, দ্রব্য মূল্যের স্থিতিশীলতা আনয়ন, প্রশিক্ষণ ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, অনগ্রসর ও পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন বিশেষতঃ নারী উন্নয়নের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে সমবায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
সমবায়কে উন্নয়নমুখী ও টেকসই করার জন্য সমবায় অধিদপ্তর তার চলমান কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ভিত্তি প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বিগত ২০০৯ হতে ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে উল্লেখযোগ্য অর্জন নিম্নরুপ:
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস